সর্বশেষ সংবাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিল সহ আটক-১ শিবগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস পালিত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল গোমস্তাপুরে গনহত্যা দিবস উদযাপন  চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিলারের সহায়তায় টিসিবি পণ্য পাচারের চেষ্টা কালে পণ্য জব্দ : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিতরন নাচোলে গণহত্যা দিবস পালিত ভোলাহাটে পুকুরে ট্রাক উল্টে আহত -৫ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শিবগঞ্জে লিফলেট বিলি শিবগঞ্জে রমজান উপলক্ষে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং শুরু ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী সেই নারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
Large Add

বিয়ে গোপন করে পোষ্য কোটায় চাকুরি করার অভিযোগ এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
শিবগঞ্জ উপজেলার আট রশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোসা সাবিনা ইয়াসমিন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোষ্য সনদে চাকরি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন তারই সাবেক স্বামী মোঃ আব্দুল খালেক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩সালের ৮ডিসেম্বর মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন আজমতপুর চাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ২২জানুয়ারি। এদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের পূর্বের বিয়ের কথা জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার তার পোষ্য কোটায় নিয়োগপত্রটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় সাবিনা ইয়াসমিন তার প্রথম বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতি করে বিয়ের তারিখ দেখান ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর এবং সেই নিকাহনামা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জমা দিয়ে নিয়োগপত্র গ্রহণ করে স্কুলে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন সাবিনা ইয়াসমিনের সাবেক স্বামী মোঃ আব্দুল খালেক। কিন্তু প্রায় একবছরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবারও গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে আগের অভিযোগপত্রটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, ২০০৬ সালে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বিয়ে হয়। পরে ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আবারও ২০১৩ সালে তার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মোঃ আব্দুল খালেকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাকে বিয়ে করেন এবং একবছর আগে বিয়ের প্রায় দুই মাস পর তাকে তালাক দেন। তিনি আরও বলেন, আব্দুল খালেকের আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কথা জানতে পেরেই তিনি তাকে তালাক প্রদান করেন। কিন্তু আব্দুল খালেক আবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় এবং এতে তিনি সম্মতি না জানানোয় এ ধরনের অভিযোগ দিয়ে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আসাদুজ্জামান জানান, তিনি এ ধরনের একটি অভিযোগ মহাপরিচালক বরাবরে দেয়া হয়েছে বলে শুনেছেন।তবে অধিদপ্তর থেকে তাদের তদন্তের নির্দেশ দিলে বিষয়টি তিনি তখন তদন্ত করে দেখবেন।

Add img sm
Add img sm

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: