ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি :
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের পর এবার ভোলাহাটে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছনতাœ অভিযান।উচ্ছেদকৃত অংশের আবজর্ণা সরিয়ে রাস্তা সম্প্রসারন ও দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে। উচ্ছেদের পর পাল্টে গেছে ভোলাহাটের চিত্র এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।প্রতিবেদনে উচ্ছেদকৃত অংশের উন্নয়ন না করা হলে আবার দখলের আশংকা করা হলে স্থানীয় প্রশাসন উচ্ছেদকৃত অংশে শুরু করে পরিচ্ছনা অভিযান সহ বেশ কিছু পরিকল্পনা।পরিকল্পনার ংশ হিসেবে রাস্তার পাশে যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে উপজেলা নির্বহী অফিসার ফুলের গাছ লাগিয়ে দৃষ্টি নন্দন করতে অনুরোধ করায় এখন বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থরে থরে সাজানো হয়েছে ফুলের গাছ। একে অপরের দেখা দেখি স্বেচ্ছায় ফুলের গাছ রাখছেন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে । এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার স্কাউট দল, যুবসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নোংরা আর্বজনা পরিষ্কার কাজ অব্যহত রেখেছেন।সেসাথে পর্যায়ক্রমে অবেধস্থাপনা অপসারনের পর সরু রাস্তুাগুলো প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও বীরশ^রপুর এলাকার ৮ কিলোমিটার ভরাটের পর দখলকৃত ক্যানেলটি পুন:খননের পর পানি নিষ্কাশন হওয়ায় জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলেছে ভোলাহাটবাসীর।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ খাতুন বলেন, উপজেলাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবী ও প্রধানমন্ত্রীর শ্লোগান আমার গ্রাম আমার শহর র্নিমাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রসংশনীয়। তিনি আরো বলেন, ভালো কাজে কিছু বাধা আসতেই পারে। সে বাধাকে অতিক্রম করে ব্যাপক জনগোষ্ঠির কল্যাণে ইউএনও এর সাথে ভোলাহাটের উন্নয়নে কাজ করতে চান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান জানান, ভোলাহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমার গ্রাম আমার শহর গড়ার শ্লোগানকে সামনে রেখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সুন্দর ভোলাহাট গড়তে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফুলের গাছ লাগিয়ে উপজেলাকে দৃষ্টি নন্দন করা হবে।রাস্তার উচ্ছেদকৃত অংশ কার্পেটিং করে প্রসস্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত: উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভোলাহাট-রহনপুর মূল সড়কসহ প্রত্যন্তাঞ্চলের সড়কগুলো দখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেন এলাকার প্রভাবশালিরা। রাস্তার পাশে গাছ লাগানো, গরু বাঁধা সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে পথচারিদের চলাচলে চরম বাধার মুখে পড়তে হতো।পানি নিষ্কাশনের ক্যানেলটি দখলের কারনে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত। এ সব উচ্ছেদে উপজেলা আইনশৃংখলার মাসিক সভায় বার বার প্রস্তাবনা আশার পরও অজ্ঞাত কারনে তা আলোর মুখ দেখেনি। আড়াই মাস পূর্বে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান ভোলাহাটে যোগদানের পর রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে শুরু করেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান।