সর্বশেষ সংবাদ রামজানে পণ্যের দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা-  ইউএনও শিবগঞ্জ  ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হলো  চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রহনপুরে পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সোনামসজিদে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের স্থান জটিলতা নিরসন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের প্রেসব্রিফিং এমপিওভূক্ত বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিএনসি’র অভিযান \ ৪০ কেজি গাঁজাসহ আটক-২ আর্ন্তজাতিক বর্ণবৈষম্য দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন গোমস্তাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাসায় হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
Large Add

অধ্যাদেশ জারির পর ধর্ষণ মামলার প্রথম রায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমীন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মধুপুরের গোলাবাড়ি গ্রামের সুনিল চন্দ্র শীলের ছেলে সাগর চন্দ্র শীল, গোলাবাড়ি গ্রামের দিগেন চন্দ্র শীলের ছেলে গোপি চন্দ্র শীল, মধুপুর উপজেলার চারাল জানী গ্রামের সুনিল মনি ঋষির ছেলে সুজন মনি ঋষি, সুনিন্দ্র চন্দ্র মনি ঋষির ছেলে রাজন মনি ঋষি, বদন চন্দ্র মনি ঋষির ছেলে সত্যজিৎ মনি ঋষি। এদের মধ্যে সাগর চন্দ্র শীল, সুজন মনি ঋষি ও রাজন মনি ঋষি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার জানান, ২০১২ সালে জানুযারি মাসে ভূঞাপুর উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে সাগর চন্দ্র শীলের মোবাইলে পরিচয় হয়। ১৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী সকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শালদাইর ব্রিজের কাছে পৌঁছলে সাগর কৌশলে একটি সিএনজিতে তাকে এলেঙ্গা নিয়ে যায়। সেখান থেকে মধুপুরে চারাল জানী গ্রামে তার বন্ধু রাজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার চার বন্ধু ওই ছাত্রীকে সাগরের সঙ্গে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সাগর হিন্দু বলে সে বিয়েতে রাজি হয়নি। এ কারণে ওই রাতে সাগর ক্ষুব্ধ হয়ে রাজনের বাড়িতে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ১৭ জানুয়ারি রাতে ওই ছাত্রীকে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে সেখানে তারা পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে এবং মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। এক পর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সাগর ও তার সঙ্গীরা। পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরলে স্থানীয় এক মুয়াজ্জিনের সহায়তায় উদ্ধার পায় মেয়েটি।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তিনদিন পর ১৮ জানুয়ারি ভুঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুজন মণি ঋষিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। ১৯ জানুয়ারি আসামি সুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন।

Add img sm
Add img sm

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: