সর্বশেষ সংবাদ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শিবগঞ্জে লিফলেট বিলি শিবগঞ্জে রমজান উপলক্ষে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং শুরু ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী সেই নারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন রামজানে পণ্যের দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা-  ইউএনও শিবগঞ্জ  ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হলো  চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রহনপুরে পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সোনামসজিদে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের স্থান জটিলতা নিরসন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের প্রেসব্রিফিং এমপিওভূক্ত বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচী
Large Add

শীতে করোনা প্রতিরোধে স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু ও কোয়ারেন্টাইন জোরদার করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেকে কীভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা যায়, সে চিন্তা মাথায় রেখে যুবকদের দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। আসছে শীতে করোনা প্রতিরোধে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু করার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুব সম্প্রদায়কে সবধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক, জঙ্গিবাদ,  সন্ত্রাস বা দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর থাকবে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। চলমান মহামারি করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, করোনার প্রভাব সব দেশে আবারও ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশ লকডাউন দিচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকেও এখন সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদেরও এখন সজাগ থাকতে হবে। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকবেন তেমনটা নয়। কিন্তু যখন কারও সঙ্গে মিশবেন এবং জনসমাগম বা মার্কেটে যাবেন, তখন মাস্ক পরে অবশ্যই নিজেকে সুরক্ষিত করবেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে যারাই দেশের বাইরে থেকে আসবে তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। তাদের সবার করোনা টেস্ট করাতে হবে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব স্থলবন্দরে কেউ প্রবেশ করতে গেলেই চেক করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ে কেউ দেশে ঢুকছে কি না।
অনুষ্ঠানে যুব সমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ডিগ্রি নিয়েই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কীভাবে কিছু করা যায় ‘নিজে কাজ করব, আরও দশজনকে চাকরি দেব, নিজে উদ্যোক্তা হব, নিজেই বস হব।’ এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে যে, ‘আমি আমার বস হব, আমি কাজ দেব। আমার মধ্যে সেই শক্তিটা আছে, সেই শক্তিটা আমি কাজে লাগাব’Ñ এই চিন্তাটা মাথায় যেন থাকে আমাদের যুবকদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি, আমাদের তো সময় শেষ, কিন্তু যুবকরাই তো আসলে দেশের প্রাণসঞ্চার করবে। কাজেই সেভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাক, আমি সেটাই চাই।
শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যদি তিনি (বঙ্গবন্ধু) বেঁচে থাকতেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা যদি বাঙালির জীবনে না ঘটত, তাহলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সারাবিশে^ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারত। সেভাবেই তিনি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং যারা হানাদার বাহিনীর দোসর, তাদের চাটুকার, খোশামোদি-তোষামোদি যারা করে, তারাই কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যা করে অগ্রযাত্রাটা ব্যাহত করেছে।

Add img sm
Add img sm

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: