মিটুল বলেন, প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে পড়ালেখা করেছি।অনকেদিন বাবার সাথে মাঠে কাজ করতে গিয়ে সারা দিন পড়ার সময় পাইনি।কিন্তু অনেক ইচ্ছে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ালেখা করার। আজ সে ইচ্ছে আমার পূরণ হয়েছে। তাতে আমি খুব আনন্দিত। এ আনন্দের কথা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হবার পাশাপাশি আমি ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১০৩০, বুয়েটে -১৪৮৪ নম্বওে অবস্থান করছি। আমার লক্ষ্য ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় কিন্তু সাবজেক্ট মনের মতো না হওয়ায় এখন ডাক্তারি পড়বো বলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি।
ছেলের এমন ভালো ফলাফল হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে মিটুলের বাবা আব্দুল করিম বলেন, আমার ছেলেটা ছোট থেকেই খুব মেধাবী। তাকে লেখাপড়ার জন্য কখনো বলতে হয়নি। আমার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে। তার মধ্যে মিটুল তৃতীয়। তিনি আরও বলেন,আমি মুর্খসূর্খ মানুষ। তাই অন্য সন্তানদের তেমন লেখাপড়া করাতে পারিনি। তবে মিটুলের চেষ্টায় সে এতদুর এগিয়েছে। এখন শুধু স্বপ্ন দেখি মিটুল বড় হয়ে একটা চাকরি করে সমাজের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
নয়াদিয়াড়ী গ্রামের হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান আলী বলেন,মিটুল ছোট থেকে ভালো ছাত্র ছিল। এছাড়াও তার পরিবারের লোকজনও বলতো বাড়িতে সব সময় লেখাপড়া করে মিটুল। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সি ইউনিটে প্রথম হওয়া আমরাও আনন্দিত।
এর আগে মিটুল ২০১৯ সালে নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২১ সালে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।