সর্বশেষ সংবাদ রামজানে পণ্যের দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা-  ইউএনও শিবগঞ্জ  ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হলো  চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রহনপুরে পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সোনামসজিদে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের স্থান জটিলতা নিরসন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের প্রেসব্রিফিং এমপিওভূক্ত বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিএনসি’র অভিযান \ ৪০ কেজি গাঁজাসহ আটক-২ আর্ন্তজাতিক বর্ণবৈষম্য দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন গোমস্তাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাসায় হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
Large Add

পেশায় মিস্ত্রি,রয়েছে ফেসবুক, ইমু, হোয়াটঅ্যাপসহ অসংখ্য একাউন্ট, আর নেশা ধর্ষণ

তার নামটাও অদ্ভুত। সৈয়দ মনির হোসাইন ওরফে মশিউর মইনুল ইসলাম (৩৪)। পেশায় তিনি স্যানিটারি মিস্ত্রি। তবে ধর্ষণ ও প্রতারণা তার নেশা। রাজধানীর দারুসসালাম এলাকার বাংলা কলেজের সামনে থেকে ‌ধর্ষণের অভিযোগে (৩৪) তাকে আটক করেছে র‌্যাব।

জানাগেছে, মনির হোসাইন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের সঙ্গে প্রথমে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতেন। ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই ফেসবুক, ইমু, হোয়াটঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ওই মেয়েদের আপত্তিকর ছবি নিতেন। পরে সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন।

শুধু তাই নয়, ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকাও নিতেন তিনি। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী একাধিক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানাধীন বাংলা কলেজের সামনে থেকে মনিরকে আটক করে র‌্যা-৪। মনিরের গ্রামের বাড়ি বরগুনায়। পেশায় তিনি স্যানিটারি মিস্ত্রি।

রোববার দুপুরে র্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে আটক মনির হোসাইন ভুক্তভোগী এক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে গত ৮ মাস ধরে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে ওই নারীর আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করেন। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গড়ে তোলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়াও তার ছবি, অডিও-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিনে। একইভাবে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন মনির।

র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি এর আগেও অনেক নারীকে ধর্ষণ করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব কাজের জন্য তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নারীদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

মনিরের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।

Add img sm
Add img sm

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: