দেশের
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্মীয় পন্ডিত, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও
সাবেক আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (রহ.) এর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বৃহস্পতিবার সকালে কওমী ওলামা
পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে নিমগাছি দারুল উলুম জেসামিয়া
ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজধানী ঢাকার সাভার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মো. আলী আকবর কাসেমী। আলোচক ছিলেন, মিরপুর বাইতুল
আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল্লাহ ফিরোজী। বিশেষ অতিথি
ছিলেন, সাভার দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম
কাসেমী। নিমগাছি দারুল উলুম জেসামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আলহাজ্ব
মাওলানা মো. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান। আলোচনা সভায় বক্তব্য
রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নূরানী একাডেমির পরিচালক মাওলানা মুফতি আলী আশরাফ,
পাঠানপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আমানুল্লাহ আমান, বারোঘরিয়া
মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হাসান মোহাম্মদ ইসহাকসহ বিভিন্ন
মাদ্রাসার শিক্ষকগণ।
আলোচনা
সভায় বক্তারা বলেন, শুধু দারুল উলুম হাটহাজারী নয়, দেশের কওমি শিক্ষা
ব্যবস্থায় আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (রহ.) উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। ২০১৮
সালে জাতীয় সংসদে বিল পাশের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদে
রাষ্ট্রীয় যে স্বীকৃতি আসে, তা তারই হাত ধরেই। ২০০৯ সালে তিনি দেশের সিনিয়র
ইসলামি ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন, যেখানে ইসলামের
নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের নিন্দা জানানো হয়। ২০১০ সালে তিনি
অরাজনৈতিক ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন।
বক্তারা
আরো বলেন, ওয়াজ নসিহত বক্তৃতার মাধ্যমে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (রহ)
মানুষকে ইসলামি শিষ্টাচার ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দিয়েছেন। লেখালেখিতেও তার
বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার রচিত গ্রন্থের সং খ্যা ২৫টি।
শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (রহ) এর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।