নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষ
পর্যন্ত সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৮ট্রাক পেঁয়াজ দিয়েই পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ
করে দিল মহদীপুর কাষ্টম্স কতৃপর্ক্ষ। আটকে থাকা চার শতাধিক ট্রাকের ৩ শ
ট্রাক শনিবার বিকেলে এবং বাকী ১শ ট্রাকও মহদীপুর বন্দর থেকে সরিয়ে নিলো
সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সি এ্যান্ড
এফ এজেন্ট আ: আওয়াল জানান, ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ
সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে কি পরিমান ছিল তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও টেন্ডারকৃত
পেঁয়াজের পরিমান আরও বেশি। কিন্তু বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা সেগুলো
পেঁয়াজ ভারত না দিয়েই ফিরিয়ে নিচ্ছে।তিনি আরও জানান, মহদীপুর বন্দর
হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাকে থাকা পেঁয়াজ নষ্ট হবার ভয়ে স্থানীয় আড়ৎগুলোতে খালাস
করা হলেও বাকী আটকে পড়া সব পেঁয়াজ বন্দর থেকে সরিয়ে ফেলেছে ভারতীয়
কতৃপক্ষ।এতে করে এ বন্দর দিয়ে আর বাংলাদেশে পেঁয়াজ প্রবেশের সম্ভবনা নাই।
এদিকে
ভারত থেকে আসা ২শ ১৩ মে:টন পেঁয়াজের এক তৃতাংশই পচাঁ হওয়ায় পানির দরে
অধকিাংশ পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।আবার বিপুল পরিমান
পেঁয়াজ একদম পঁচে যাওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে তাদের।এতে করে আর্থিক ক্ষতির মুখে
ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে খাদিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী আজিজুল
ইসলাম জানান, আটকে থাকা ১০ ট্রাক পেঁয়াজের মধ্যে ২ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে তার।
যেগুলোর এক তৃতাংশ ফেলে দিতে হয়েছে।অর্ধেক পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে এবং
কিছু পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছেন।
আর সোনামসজিদ বন্দর
পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার
মাঈনুল ইসলাম জানান, ভারত মহদীপুর দিয়ে লোক দেখানো ৮ টি ট্রাকে ২শ১৩ মে:টন
পেঁয়াজ রপ্তানী করে বাকী পেঁয়াজ সরিয়ে নিয়েছে।তিনি আরও জানান, আটকে পড়া
আমদানীকৃত ৮ট্রাক পেঁয়াজও সেদিনই বন্দরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাশ করে
বন্দর থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।