ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
অতিবর্ষণে সম্প্রতি এমপিওভুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার শিকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনসেড শ্রেনী কক্ষ ভবন ভেঙ্গে পড়েছে।এতে করে বিদ্যালয়টি খোলার পর ছাত্রীদের পাঠদান ব্যহত হবার আশংকা করা হচ্ছে।
২০০১ সালে এলাকাবাসির প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় শিকারী মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় টি। ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে কোন বালিকা বিদ্যালয় না থাকায় নারী শিক্ষার অগ্রণী ভ’মিকা রাখায় প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পর বিদ্যালয়টি এম.পি.ও ভুক্ত হয়। এর আগে ১৯ বছর ধরে বিনা বেতনে ১২জন শিক্ষক/কর্মচারীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির একটি মাত্র পুরাতন টিনশেড ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। করোনা মহামারির কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় অতিবর্ষনে জরাজীর্ণ শ্রেনী কক্ষ গুলো ভেঙ্গে পড়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বিশ^াস সুজন জানান, বিদ্যালয়টির প্রতি বছর পাসের হার শত ভাগ। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের জন্য কোন পাকা ভবন নাই। টিন ও খড়ের তৈরি জরাজির্ণ শ্রেনি কক্ষে শিক্ষকগণ আড়াই’শ ছাত্রীকে পাঠদান দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি এক নাগাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে ৫টি পুরাতন টিনসেড শ্রেনি কক্ষ ভেঙ্গে পড়েছে। এখন স্কুল চালু হলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হবে। ফলে চরম বিপদের মধ্যে ক্লাস করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বেতন ভাতা বা স্কুলের কোন অর্থ তহবিল না থাকায় শ্রেনি কক্ষ নিমার্ণ করতে পারছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৯ বছর পর বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃজ্ঞতা জানিয়ে এ ইউনিয়নের একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টির জন্য একটি ভবন নির্মানের অনুরোধ তার।
তিনি আরও জানান, শ্রেনি কক্ষ নির্মাণের জন্য আর্থীক সহায়তা চেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গতবছরের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভোলাহাট উপজেলায় একটি মাত্র বালিকা বিদ্যালয় শিকারী মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির ঘোষণা করেন।